1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১০:০১ অপরাহ্ন

ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়: রাশিয়া

আন্তর্জা‌তিক সংবাদ:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৬৬ বার পঠিত

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিতে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রোববার (৯ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আলোচনায় বসেছে রাশিয়া।

আলোচনার আগে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভ বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশ কোনো ছাড় দেবে না। মস্কোর এই কঠোর অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার সম্ভাব্য ফল নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

তিন দশক আগে স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবারই। এর আগে ক্রিমিয়া দখল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও তা বেশি দূর গড়ায়নি। কিন্তু এবার ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে দেশটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মস্কোর সেনা প্রেরণ বড় ধরনের উদ্বেগের সূচনা করে।

বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে রুশ-মার্কিন আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে কয়েক ধাপে। এর মধ্যে জেনেভা, ব্রাসেলস ও ভিয়েনাতে দুই দেশের মুখোমুখি বসার কথা। কিন্তু রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রেবকোভকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এমন যে, প্রথম ধাপের আলোচনার পরই আলোচনা থেমে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, এটাই হবে এমন বলছি না। কিন্তু সম্ভাব্য পরিস্থিতি এমন হতে পারে।

সের্গেই রেবকোভ বলেন, আসন্ন আলোচনার আগে পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কিত কোনো চাপের কারণে আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে মরিয়া ইউক্রেন। তবে এতে নারাজ রাশিয়া। গত বছর শেষের দিক থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না। ইউরোপের পূর্ব দিকে আর বিস্তার ঘটানো যাবে না ন্যাটোর।

২০১৪ সালে এক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে উত্খাত হয় তত্কালীন ইউক্রেন সরকার। ওই সরকার পশ্চিমাবিরোধী এবং রাশিয়ার পক্ষে ছিল। ইউক্রেনের রুশপন্থী সরকারের পতনের পর দেশটির অধীনে থাকা ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেয় রাশিয়া। এসব ঘটনায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com