গুন্ডা ও গডফাদার হয়ে কি লাভ ? যদি অপ্রত্যাশিত ভাবে রাস্তায়, ড্রেনে, আপনার লাশ পড়ে থাকতে হয়। জানাজার নামাজ ছাড়াই কবরস্ত হতে হয়—-_
এ জীবন অভিশপ্ত ও কলংঙ্কিতময়। এ জীবন থেকে দুরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ ! বোকারাই এ পথে পা বাড়ায়
অনেকে আছেন রয়েছেন এ পথে ! আপনাদেরকে বলছি । অন্যের হুকুম পালন বা জেদ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোন মায়ের বুক খালি করবেন না । প্রমাণিত সত্যি এই যে এক সময় আপনার মায়ের বুক খালি হলে বা আপনার স্ত্রী ও সন্তানের বুক খালি হলে কেউ পাশে থাকবেনা।
গুন্ডামী বা গডফাদার হওয়ার ইচ্ছে যাদের মনে তারা আসলে ভুল পথে হাটছেন, এই পথের শেষ ঠিকানা রাস্তায় পাশে পড়ে থাকা লাশ বা কারাগারের চার দেওয়াল অথবা লুকিয়ে থাকা ফেরারি জীবন।
তাছাড়া নিজের পরিবার কে লোক সমাজেব বা দেশের মানুষের কাছে হেয় করা ছাড়া গুন্ডামীতে আর কিবা অর্জন করতে পেরেছে কে কবে?
মনে রাখবেন কার উপকার না করতে পারেন কিন্তু কার ক্ষতির কারণ হইয়েন না কারণমানুষের কাছে ছাড়া পেলেও আল্লাহ কিন্তু ছাড়বে না।
প্রতিটি মা-বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে সন্তানের জন্য জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ও সম্পদ ব্যয় করে,যেন তার সন্তান পরিবার ও রাষ্ট্রে সম্মানের পাত্র হতে পারে। কিন্তু মুখোশ পরা একদল গডফাদারদের কারণে বাবা-মায়ের আদরের সন্তান হয়ে যায় খুনি সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
ভাই-বন্ধু আসলে আমরা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয় কিন্তু সারাজীবন ভুলে ডুবে থাকা এটাও ঠিক নয় অতএব আসুন নিজেকে ভালবাসুন, মানুষের জন্য ভাল কিছু করার মাধ্যমে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করুন। এতে আপনি, আপনার পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র সম্মানিত হবে। সবশেষে সম্মানিত আপনি হবেন।
লেখক:
রবিউল হাসান রবি (দলিল লেখক)