কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী নবাব বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে নালার ময়লা ফেলার অভিযোগ উঠেছে।নবাব পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের বংশধর সৈয়দ তানভীর হায়দার এ অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লায় এক সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে সৈয়দ তানভীর হায়দার বলেন, সিটি করপোরেশন কোনো অনুমতি না নিয়ে নবাব বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ময়লার ট্রাক প্রবেশ করিয়ে দিনে রাতে ময়লা ফেলে বাড়ির ভেতরে আবর্জনার স্তূপ করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী নবাব বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে কতিপয় লোক নানা কুটচালে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। নবাব সৈয়দ হোচ্ছাম হায়দার কুমিল্লা পৌরসভার প্রথম দিকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ব্যাপারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী এই বাড়ির মাঠে আগে স্থানীয় স্কুলের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করত। কিন্তু এখন সেখানে ময়লা ফেলার কারণে কাউকে খেলা ধুলা করতে দেখা যায় না।
কুমিল্লার ঐতিহ্যের গবেষক আহসানুল কবির বলেন, ‘কুমিল্লা নবাব বাড়ির এই ঐতিহাসিক স্থাপনা ১৮৭৮ সালে স্থাপন করা হয়। কুমিল্লা শহরের অনেক কিছুই নবাবদের দান করা সম্পত্তিতে গড়ে উঠেছে। অবিলম্বে ময়লা অপসারণ করা হোক। তিনি বলেন সরকার এই ঐতিহাসিক সম্পত্তিকে সংরক্ষণ ও সংস্কার করে এই ঐতিহ্যকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘নবাব পরিবারের বংশধর সদ্য প্রয়াত মাসুম হায়দার থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নালার ময়লা এখানে রাখছে। ময়লা শুকিয়ে গেলে অন্য স্থানে অপসারণ করা হয়। আমরা এই ময়লা সরিয়ে নিচ্ছি, এখানে স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলা হয় না।’
তবে খবর নিয়ে জানা যায়, ‘নবাব পরিবারের বংশধর মাসুম হায়দার ৩ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন। অনুমতির বিষয়টি মিথ্যে বলে জানান নবাবের পরিবার।সুত্র:আকু।