শনিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ির চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মারা গেলেন বাংলাদেশের ২ নাগরিক। বিএসএফ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে গুরু পাচার করছিল ওই ২ বাংলাদেশি। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দুজনের। -জি নিউজ
মৃত যুবকের নাম মহম্মদ ইউনুস, বাড়ি বাংলাদেশের পাটগ্রাম থানার ডাঙ্গাপাড়ায়। মৃত দ্বিতীয় যুবকের নাম মহম্মদ সাগর। তারও বাড়ি পাটগ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ, ১৪৮ নং ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহিত কোঠিয়াল, কম্পানি কমান্ডার আর কে শেট্টি, মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত , মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ দুটি বাংলাদেশের বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সীমান্তে চার কিলোমিটার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। চ্যাংরাবান্ধা শ্মশান ঘাট থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত খোলা সীমান্ত গরু পাচারকারীরা করিডোর হিসাবে ব্যাবহার করে। ধরলা নদী ও জঙ্গল এই সীমান্তকে দূর্গম করে তুলেছে। এর আগেও এই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বেশকিছু বাংলাদেশী।