রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুদ নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতরাতে রাবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। নিহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৩৫) রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন।
বেয়ালিয়া মডেল থানার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, মাসুদ গত ৫ আগস্ট আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছিলেন, এই অভিযোগ তুলে গতরাতে প্রায় ১০০-১৫০ লোক বিনোদপুর এলাকায় তাকে আটক করে মারধর করেন।
পরে আহত অবস্থায় মাসুদকে থানায় নিয়ে মারধরকারীরা তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন বলে জানান ওসি।
ওসি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাসুদকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান ওসি। এর আগে, বোয়ালিয়া থানায় আহত মাসুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন এবং ওষুধ কিনতে বিনোদপুর এলাকায় গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম বলে তারা আমাকে আটক করে প্রচন্ড মারধর করে। ২০১৪ সালের হামলায় আমার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং উভয় হাত ও পায়ের রগ কাটা পড়ে। বহু আগেই আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। আমার নবজাতক বাচ্চার ওষুধের জন্য বিনোদপুর গিয়েছেন বলে মাসুদ জানায়।
২০১৪ সালে রাবি ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হয়েছিলেন মাসুদ। সেসময় এই হামলার জন্য ইসলামী ছাত্র শিবিরকে অভিযুক্ত করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারিতে মাসুদকে রাবি মেডিকেল সেন্টারে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।