কাজের চাপে প্রিয়জনকে সময় দেওয়াই হয় না। করোনা মহামারির লকডাউনে পড়ে মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছে সেটা। ঈদুল ফিতরে এ নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন সাত পরিচালক ‘ঘরবন্দী সময়ের গল্প’ সিরিজ নামে। ঈদুল আজহায় আসছে সেসব চলচ্চিত্রের সিকুয়েল। ভিন্ন নামে স্যাটেলাইট চ্যানেল ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে সেসব স্বল্পদৈর্ঘ্য।
‘ঘরবন্দী সময়ের গল্প’-এর দ্বিতীয় মৌসুমের সাত স্বল্পদৈর্ঘ্যের দৈর্ঘ্য ২০ মিনিট। সিরিজের প্রযোজক জানান, করোনাকাল স্পষ্ট করেছে, পরিবার বা বাইরের মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের রসায়নটা বদলে গেছে। দীর্ঘ ঘরবন্দী সময়ে সম্পর্কগুলো দৃঢ় হয়েছে। প্রিয়জনদের সময় দেওয়া কতটা জরুরি, তা শিখিয়েছে করোনা। বিষয়টি তুলে ধরতেই সাত নির্মাতাকে নিয়ে সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তাঁরা।
দ্বিতীয় মৌসুমে সারিকা ও মুসফিক ফারহানকে নিয়ে চয়নিকা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ‘রৌদ্রছায়া’। ইয়াশ রোহান ও নাদিয়া মিমকে নিয়ে গৌতম কৈরীর ‘করোনাকাল’-এর শুটিং শেষ হয়েছে। অপর্ণা ও ইরফান সাজ্জাদকে নিয়ে সাফায়েত মনসুর নির্মাণ করেছেন ‘প্রেসার কুকার’। মোশাররফ করিম ও জুঁই যুগলকে নিয়ে আবু হায়াত মাহমুদ করছেন ‘বাফার জোন’, টয়া ও শাওন যুগলকে নিয়ে মাবরুর রশীদ করবেন ‘দায়িত্ব’। আফরান নিশো ও নাবিলাকে নিয়ে মাহমুদুর রহমান করবেন ‘১৪ দিন’, মিথিলাকে নিয়ে রওনক হাসান পরিচালনা করছেন ‘টোনাটুনি রাগ করো না’। এতে মিথিলার বিপরীতে থাকবেন রওনক নিজেই।
দীর্ঘ বিরতির পর পরিচালনায় ফিরেছেন অভিনেতা রওনক হাসান। ‘টোনাটুনি রাগ করো না’ চলচ্চিত্রটির এক দিনের শুটিং করেছেন তিনি। আজ কিছুটা কাজ এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমি অভিনয়টাই সব সময় করতে চাই। এই চলচ্চিত্র ঈদের একটি বিশেষ কাজ, এ কারণে এটা করছি। তা ছাড়া মিথিলার সঙ্গে চার-পাঁচ বছর পর কাজ হচ্ছে।’ নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘সম্পর্কের দ্বন্দ্বে থাকা অনেক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনাকাল নতুন জায়গা তৈরি করেছে। এমন একটি পরিবারের গল্প ‘বাফার জোন’। ২৮ জুলাই দিন-রাত মিলে শুটিং করে কাজটি শেষ করব।’
প্রযোজক জানান, ঈদের প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১০টা ৪০ মিনিটে দীপ্ত টিভিতে এক পর্ব করে প্রচারিত হবে সিরিজটি। পাশাপাশি ঈদে জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলেও থাকবে এটি।