বরাবরের মতো এই কঠোর লকডাউনেও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি অনীহা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকজন পথচারীকে এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারন বলতে পারেন নি। এর মধ্যে অনেককে মাস্ক ছাড়াও দেখা গেছে।
রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, মীরপুর ১ এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রধান সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা, কিন্তু গলিতে গলিতে মানুষের উপস্থিতি। অনেকে বসে গল্প করছেন, কেউ কেউ লকডাউন কেমন হচ্ছে দেখতে বের হয়েছেন। অনেকে বের হয়েছেন কোনো কারণ ছাড়াই।
শ্যামলী প্রধান সড়ক, টেকনিক্যাল মোড়, মীরপুর ১ নম্বর গোলচত্বর এসব এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে টহল দিতেও দেখা গেছে। চেকপোস্টে গাড়ী এলেই গতি রোধ করা হচ্ছে। পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাবেন। সুনির্দিষ্ট কারণ ও প্রমাণ দিতে পারলেই পরিবহনগুলো ছাড়া হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে।
মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে গোলচত্বরে দায়িত্বরত মিরপুর বিভাগ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যথাযথভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। সকাল থেকেই লক্ষ্য করছি মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। বিগত দিনের লকডাউনের তুলনায় এবার মানুষ অনেক সচেতন।
পাড়া-মহল্লার পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহল্লায় টহল হচ্ছে। তবে প্রধান সড়কে নজরদারিটা মহল্লার থেকে সহজ হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাতদিনের সরকারি ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সাতদিন সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সরকারি বিধি-নিষেধ ও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব এবং আনসার সদস্যরা। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিধি-নিষেধের সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।