চোখের পাতা স্পর্শ করো-
কত নদী সাগরের জল জমে আছে এই চোখে,
তুমি সাঁতার কেটে দেখো পৃথিবীর সবটুকু রূপ মিশে গেছে সমুদ্রের জলে;
ঠোঁটের গভীরতা স্পর্শ করো-
হ্যা, আরো কাছে, আরো উত্তাল শ্রাবণ মেঘের দিনে
ভিজে যাওয়া শঙ্খচিলের ডানায়; কিছু পেলে কী খুঁজে?
শরতের আকাশ যেমন স্বচ্ছ, তেমনি কিছু…
– না।
– না, কেন অতসী?
-বৃষ্টির জলে ধোয়ে গেছে মন
– কেন? মুছে ফেলো সবটুকু বিতৃষ্ণার জল।
এসো আমরা সমুদ্র হই, পৃথিবীর মানচিত্রে লেখা রবে আমাদের গাঢ় সবুজ অরণ্য।
-যে রাত পুড়ে গেছে একদিন তাকে তুমি কেন মিছে ডাকো।
– না,না, না… আমি মানিনা পৃথিবীর নিয়ম। ভুলে যাও তুমি। আবার আকাশে চাঁদ ওঠবে, ভোরের স্নিগ্ধ রূপে ভরে ওঠবে আমাদের প্রিয় সবুজ।
– যে অতসী একদিন মরে গেছে হিংস্রতার করাল গ্রাসে
যে অতসী সমাজ সংসারে পঁচে গলে গেছে,
তাকে নিয়ে মিছে ঘর বেঁধোনা।
– আমি সমাজ মানিনা, আমি দেশ জাতি, ধর্ম মানিনা..
যে সমাজ মানুষের সম্ভ্রম ফিরিয়ে দিতে পারেনা, যে দেশে ধর্ষণের বিচার হয়না,
আমি মানিনা এসবের কিছুই…
স্পর্শ করো বুকের গভীরে, এ বুক শুধুই তোমার পৃথিবী, তোমার সেই প্রিয় সবুজ উদ্যান
উত্তাল নদী, নদীর বুকে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য নৌকো।
– না, আমি অরণ্য চাইনা, নদী, আকাশ, সমুদ্র এসবের কিছুই চাইনা!
– বেশ, তাহলে কী চাও তুমি?
-যা চাই, দেবে বলো, ফিরিয়ে দাও আমার সম্ভ্রম, ফিরিয়ে দিতে পারো আমার স্বাধীনতা।
না, পারিনা। এক আকাশ বৃষ্টি ছুঁয়ে দাও
ভিজে যাও ধূসর মৃত্তিকার মতো, মৃত্তিকার ঘ্রাণ ছুঁয়ে ওঠে দাঁড়াও দেখবে পৃথিবী এখনো অনেক শুভ্রতায় বুক ছুঁয়ে আছে।
– বেশ। এসো, তাহলে আমরা বৃষ্ট হই, মৃত্তিকার বুকে মিশে হই বরফ শীতল জল।