বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ। ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই অবস্থান লাল-সবুজ দলের। জামাল ভূঁইয়াদের এখন বাছাই পর্বে ফিরতে হলে প্লে-অফ খেলতে হবে।
ম্যাচে নিয়মিত একাদশের চারজন খেলোয়াড় ছিলেন না। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, উইঙ্গার বিপলু আহমেদ ও মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি খেলেননি। প্রথম তিনজন কার্ড সমস্যার কারণে নেই, পরের জন চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। তাদের জায়গায় দুই তরুণ ডিফেন্ডার রিমন হোসেন ও ইয়াছিন আরাফাত, দুই উইঙ্গার আব্দুল্লাহ ও ইব্রাহিম সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের।
কাতারের দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে বল দখলে একচেটিয়া প্রাধান্য ওমানের। আক্রমণেও তাই। প্রথমার্ধেই একাধিক গোলে এগিয়ে যেতে পারতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। কিন্তু এই অর্ধে একটি গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
১৭ মিনিটে গোলকিপার জিকো ফিস্ট করে কর্নার ফেরানোর পর খালিদ নাসেরের বাইসাইকেল কিকও ফেরান। পরের মিনিটে কর্নারে আমজাদ আল হার্থির হেড গোললাইন থেকে হেডেই সেভ করে দলের ত্রাতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
২২ মিনিটে প্রথম গোল করে ওমান। সতীর্থের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খালিদ আল হাজরির আড়াআড়ি ক্রস গোলমুখ থেকে সহজ টোকায় জিকোকে পরাস্ত করেন মোহাম্মদ আল গাফরি।
ছয় মিনিট পর সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় বাংলাদেশের। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কর্নারে ইয়াছিন আরাফাতের হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ওমান গোলকিপার।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারতো গ্রুপ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওমান। আহমেদ আল কাবির একটু দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট রাফির বুক ছুঁয়ে দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
বিরতির পর ওমান আগের সেই আগ্রাসী ভূমিকায়। গোলও বেশি পেয়েছে এই অর্ধে। ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। সতীর্থের কাটব্যাক একজনের পা হয়ে পাওয়ার পর ডি বক্সে ফাঁকায় থাকা আল হাজরি নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। একটু পর পোস্টে লেগে ফিরে ওমানের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা। ৭৩ মিনিটে খালিদ আল হাজরির শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জিকো।
৮০ মিনিটের গোলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। আব্দুল আজিজের পাস ধরে সুলাইমান আল আকবারি ছোট করে বাড়ান আল হাজরিকে। আগে জিকো পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড। একটু পর আল আকবারির চিপ ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
বাংলাদেশ একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো, ইয়াছিন আরাফাত, তপু বর্মণ, রিমন হোসেন, কাজী তারিক, রিয়াদুল হাসান, মানিক মোল্লা (জুয়েল), আবদুল্লাহ (মেহেদী হাসান রয়েল), মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রাকিব (সুমন রেজা) ও মতিন মিয়া।