ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির প্রধান মাসুদুজ্জামান।
অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই প্রিমিয়ার ক্রিকেটলিগ নিয়ন্ত্রক কমিটি সিসিডিএমের (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটন) পক্ষ থেকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আরোপ করা হলো বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের ওপর।
আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে নিজের বোলিংয়ের সময় আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব। পরের ওভারেই বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে সাকিব আবারও স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।
ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে অশোভন ভঙ্গিও করতে দেখা যায় সাকিবকে। এমন সময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সাকিবের দিকে। তেড়ে যেতে দেখা যায় সাকিবকেও। পরে দুজনকে ছাড়িয়ে দেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। পরে আবাহনীর ড্রেসিংরুম গিয়ে সুজনের কাছে ক্ষমা চান সাকিব।
মাঠের অসদাচরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, নিজের মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সঙ্গে ম্যাচের আবহ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।কিন্তু মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত এ রকম হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের কারণে আমি দল, ম্যানেজমেন্ট ও টুর্নামেন্টের কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। ধন্যবাদ, সবার জন্য ভালোবাসা।’
কদিন আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকিব। এর আগেও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা আছে। সেগুলোর জন্য তিনি বিভিন্ন সময় শাস্তিও পেয়েছেন।
শুক্রবার মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আউট না দেয়ার প্রতিবাদে লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ক্ষিপ্ত হয়ে এসে স্ট্যাম্প তুলে ছুড়ে মারেন তিনি। এমন ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের কারণে সাকিব আল হাসানকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।