1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডি‌বির পৃথক অ‌ভিযা‌নে ইয়াবা ফে‌ন্সি‌ডিল আটক ৩ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত – এম সাখাওয়াত হোসেন দে‌শের প্রয়োজ‌নে বিএনসিসির সদস্যরা বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ কর‌বে – সেনাপ্রধান কু‌মিল্লায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে পু‌লিশ সুপা‌রের মত‌বি‌নিময় নারায়নগন্জ মহানগর বিএনপির র‍্যালিতে কৃষক দলের অংশগ্রহন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগ‌ঞ্জে বিএন‌পির র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

চীন মুসলমানদের মুছে ফেলতে চাইছে : অ্যামনেস্টি

নাগরিক খবর আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১
  • ৮৩০ বার পঠিত

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল চীনের উইঘুর ‍মুসলমানদের নিয়ে তাদের নতুন রিপোর্টে অভিযোগ করেছে, চীন মুসলমানদের মুছে ফেলতে চাইছে।

১৬০ পাতার এ রিপোর্টের শিরোনাম, ‘আমরা যেন যুদ্ধে শত্রুপক্ষ’।

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলেকে (ডিডব্লিউ) বলেছেন, ‘চীন মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, তা তথ্যসহ রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘অন্য দেশগুলো যেন সাহসী হয়ে উপায় ঠিক করে এবং চীনকে এই কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করে।’

অ্যাগনেস বলেছেন, ‘আমরা যে তথ্যপ্রমাণ দিয়েছি, তারপর দেশগুলোর পক্ষে চুপ করে থাকা মুশকিল।’

আমেরিকা ইতিমধ্যেই উইঘুরদের প্রতি চীনের নীতিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। চীন অবশ্য উইঘুরদের বিরুদ্ধে কোনোরকম অত্যাচারের কথা অস্বীকার করে। তাদের অভিযোগ, চীনের ঘরোয়া বিষয়ে বাইরের দেশগুলো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।

body stripe polo shirt
Advertising

রিপোর্টে কী বলা হয়েছে

অ্যামনেস্টি ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে ২০২১-এর মে পর্যন্ত গবেষণা করেছে। তারা ১২৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তার মধ্যে ৫৫ জন চীনের উইঘুর শিবিরে ছিলেন। আর ৬৮ জন সেই সব পরিবারের সদস্য, যে পরিবার থেকে কেউ হারিয়ে গেছেন বা তাদের আটক করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।

রিপোর্ট বলছে, জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষকে শিবিরে পাঠানো হয়েছে। মুসলমানদের ভয় দেখানোর জন্য চীন তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর সাক্ষী অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, চীন মুসলমানদের মুছে ফেলতে চায়।

অনেকে বলেছেন, মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকী মসজিদে ও মুসলমানদের বাড়িতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের অনেকেই বলেছেন, তারা চীনে নিজেদের ধর্মাচরণ করতে ভয় পাচ্ছেন। তারা জানেন যে, রাষ্ট্র তাদের উপর নজর রাখছে।

উইঘুর শিবিরের কথা

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনোরকম সতর্কতা ছাড়াই উইঘুরদের মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের তথাকথিত শিক্ষা-শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করানো হয়।। তারপর তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে শিবিরে রাখা হয়, কারণ দেখানো হয়, তারা সন্ত্রাসবাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়।

যাদের শিবিরে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদের কয়েকজন অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, শিবিরের অবস্থা চীনের কারাগারের থেকেও খারাপ। তাদের সংশোধন-ক্লাসে যেতে হয়। তার আগে সারাদিন তাদের বসিয়ে রাখা হয়। শিবিরের ক্লাসে তাদের ইসলামের ‘খারাপ’ দিকগুলো বাধ্যতামূলকভাবে শিখতে হয়।

অ্যামনেস্টির সুপারিশ

এই মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, শিবির থেকে চীনকে সব উইঘুরকে মুক্তি দিতে হবে। যদি না তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অকাট্য প্রমাণ থাকে। চীনকে এই শিবির বন্ধ করতে হবে। উইঘুরদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অত্যাচার ও তাদের হেনস্থা করা বন্ধ করতে হবে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও অপরাধের তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক দল পাঠাবে। জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়ে দেবেন, চীন বেআইনি কাজ করেছে এবং তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com