1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

যে তুরস্ককে একপেশে করে দেবে সে মূল্যবান একটা বন্ধু হারাবে

নাগরিক অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১
  • ২৮৯ বার পঠিত

উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান এরদোগান

যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তুরস্ককে একপেশে করে ফেলে তাহলে তারা এক মূল্যবান বন্ধুকে হারাবে। আগামী ১৪ই জুন ব্রাসেলসে ন্যাটো সামিটের এক ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে এরদোগানের। তার আগেই বাইডেনকে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দিলেন। একই সঙ্গে আর্মেনিয়ায় গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ায় বাইডেনের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  সঙ্গে মিত্রতা ছিল এরদোগানের। কিন্তু জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার হাতবদল হয়। প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন জো বাইডেন। তিনি আগে থেকেই তুরস্ক, সউদী আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর প্রেক্ষিতে আঙ্কারা-ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করলে এরদোগান বলেন, যে তুরস্ককে একপেশে করে দেবে, সে মূল্যবান একটা বন্ধু হারাবে। মঙ্গলবার এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের উত্তেজনার কারণ কি?

সেটা হলো তথাকথিত আর্মেনিয়া গণহত্যা। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আর্মেনিয়াকে উপদেশ, পরামর্শ দেয়া ছাড়া আপনাদের সামনে কি আর কোনো সমস্যা নেই? এরদোগান-বাইডেন সম্পর্ক নতুন করে সাজানোর ইচ্ছা আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এরদোগান। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, তাদের সাক্ষাৎ যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের অগ্রদ‚ত হয়ে আসবে। ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা এরদোগান বলেন, হোয়াইট হাউজে রিপাবলিক বা ডেমোক্রেট যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন তাদের সাথে সবসময়ই ভারসাম্যপ‚র্ণভাবে কাজ করেছি। অপরদিকে, দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। মঙ্গলবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় স¤প্রচারমাধ্যম টিআরটি হাবের-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানান তিনি। এরদোগান বলেন, মিসর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক। এখানে কেউ হারবে না। বরং নিজ নিজ জায়গা থেকে সবারই জয় হবে। বছরের পর বছর ধরে মিসর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি। এর এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। প্রতিবাদে মুরসি সমর্থকরা রাস্তায় নামলে ব্রাদারহুডের প্রায় হাজারখানেক নেতাকর্মীকে হত্যা করে সরকারি বাহিনী। অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয় ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে মুরসি সমর্থকদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জেনারেল সিসি-র প্রতি সমর্থন জানায় সউদী আরব। অন্যদিকে মোহাম্মদ মুরসি-র পক্ষে জোরালো ভ‚মিকা নেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এ ঘটনায়ক্ষুব্ধ হয় মিসরের জান্তা সরকার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের সঙ্গে মিসরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। ২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সউদী আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। পরে ওই অবরোধ প্রত্যাহারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরে সউদী জোট। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া, কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তবে সউদী জোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো তুরস্কের দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে কাতার। তুরস্কও কাতারের সমর্থনে এগিয়ে আসে। বলা চলে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান একাই সউদী আরবের কাতারবিরোধী অবরোধ ব্যর্থ করে দেন। এ ঘটনা তুরস্কের প্রতি রিয়াদের ক্ষোভের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যকান্ডের পর দুই দেশের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বর্বরোচিত ওই হত্যকান্ডের জন্য এমবিএস নামে পরিচিত সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হয়। অন্যদিকে সউদী প্রভাব বলয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্র শাসিত অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সউদী আরবে তুর্কি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেওয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এক পর্যায়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোয়নে আগ্রহী হয়ে উঠে তুরস্ক। মঙ্গলবার টিআরটি হাবের-কে দেওয়া এরদোগানের সাক্ষাৎকারে সে বিষয়টিই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। আনাদোলু এজেন্সি, দ্য গার্ডিয়ান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com