মায়াবতী বলতেছে দ্যাখোনা আজকের জ্যোৎস্নাটা কত সুন্দর। আমাদের বিদীর্ণ চাল বেয়ে আলো গুলো চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। শুয়ে থেকে এমন জ্যোৎস্না দ্যাখার ভাগ্য ক’জনেরই বা আছে?
আমি একদম চুপ হয়ে আছি
মনের অজান্তেই চোখের ভিতর শীতল নদী বয়ে যাচ্ছে।
আমার কি আছে? ভালোবাসাটুকু ছাড়া।
আর মায়াবতীর কি ছিলো না? সবই ছিলো!
অথচ আমার মতো একটা বেকার ছেলের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে।
একবেলা খাওন দিতে পারলে আর একবেলা দিতে পারি না।
দামি কাপড়চোপড় তো দূরের কথা।
অথচ মায়াবতী সব ভুলে হাসি খুশিতেই আমার সাথে সংসার করে যাচ্ছে।
এসব ভাবতে ভাবতেই মায়াবতীর হাতের স্পর্শে আমি স্বাভাবিক হতেই অবাক হয়ে যাই। সে আমার পছন্দের নীল শাড়িটা পরে আমার হলুদ পাঞ্জাবিটা নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলতেছে পাঞ্জাবিটা পরে নাও।
আমি বললাম কোথায় যাবে?
মায়াবতী বললো–
তুমি আর আমি আজকের এই জ্যোৎস্না রাতে হাঁটতে হাঁটতে গ্রাম থেকে দূরে চলে যাবো, অনেক দূরে একদম দিগন্তরেখার কাছাকাছি। আমরা অথৈ জ্যোৎস্নার বিশাল সমুদ্রে অবগাহন করবো। আমাদের সামনে থাকবে ভরা পূর্ণিমার চাঁদ।
আমি বললাম তোমার সাথে যাবো তবে একটা শর্ত আছে!
মায়াবতী বিস্ময় স্বরে বললো কী শর্ত, কাঁধে মাথা রেখে জ্যোৎস্না দ্যাখতে চাও নাকি?
আমি বললাম না।
তবে যদি অনন্তকাল কালের জন্য তোমার চাঁদমুখখানি দ্যাখতে দাও তবেই তোমার সাথে যাবো।
লেখক—-
✍️রুবায়েত হোসেন