সরকারি গোপন নথি নিজের কাছে রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাতে শুক্রবার ( ৯ জুন) রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে মার্কিন বিচার বিভাগের এমন অভিযোগ ট্রাম্পের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। চলতি বছরের মার্চে নিউ ইয়র্কে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা আরেকটি ফৌজদারি মামলার শুনানি হওয়ার কথা। মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিয়ামির ফেডারেল আদালতে তাকে ডাকা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি নির্দোষ।’
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তদন্ত পরিচালনাকারী বিচার বিভাগের কর্মকর্তা জ্যাক স্মিথ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, দায়িত্ব ছাড়ার পরও নিজের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রেখে দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৭টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ভুয়া বিবৃতি, ষড়যন্ত্র ও বেআইনিভাবে সরকারি নথি নিজের কাছে রাখা অন্যতম বলে এক বিবৃতিতে সিএনএনকে জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবী জিম ট্রাস্টি। তবে তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো নির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
গত বছর ট্রাম্পের কাছ থেকে অন্তত ১ হাজার ৩০০ টি নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তিনি নিজের কাছে রাখা গোপন নথির অপব্যবহার করেছেন কি না, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বিচার বিভাগ।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। চলতি বছরের এপ্রিলে, এক পর্ণ তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়াসহ প্রায় ৩৪ টি মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি। নতুন এই অভিযোগের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলেন তিনি।
২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা যায়।
সূত্র: রয়টার্স