ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এক যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ মে ২০২৩) ডিএমপির সদর দপ্তরে ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার বলেন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা বর্তমান সময়ে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাই। অনেক সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সচেতনার কোন বিকল্প নেই। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজধানীতে প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনা। গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না, তিনি ঠিকমতো গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, গাড়ির গতিসীমা সঠিক আছে কি না, অযথা অভারটেকিং করছে কি না বিষয়গুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করা প্রয়োজন। পথচারীদের মধ্যে ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের এই দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।
মুখ্য আলোচক হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক আইন ও সড়কের বিভিন্ন চিহ্ন সম্বন্ধে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন ও বিধি না মানার কারণে সড়কে মারাত্মক ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজধানীর সড়কের একটি বড় সমস্যা হলো যানজট। এর ফলে একটি গাড়ি ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ফলে যখনই গাড়িটি একটু ফাঁকা সড়ক পায় তখনই অতি দ্রুত বেগে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই দ্রুত গতির ফলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
কর্মশালার মুখ্য আলোচক পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইনের কোনটির কি অর্থ, কেন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, কেন রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে ও এর থেকে প্রতিকারের বিষয় দীর্ঘ নিবন্ধে তুলে ধরেন।
কর্মশালায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিনিধি, বিআরটিএর প্রতিনিধি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, প্রকৌশলী ও পরিবহন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।