সেনা কর্মকর্তারা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক নেতারা এ কথা জানান।
এদিকে এ অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটির অভ্যন্তরে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। খবর এএফপি’র।
এক বিবৃতিতে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক নেতারা বলেন, লে: কর্ণেল পল-হেনরি সান্দাওগো ডমিবা ব্যাপক সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে ‘নিজ থেকেই পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক নেতাদের উদ্যোগে ডমিবা ও স্বঘোষিত নতুন নেতা ইব্রাহিম ত্রাওরির মধ্যে মধ্যস্থতার পর তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।
আঞ্চলিক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সামরিক অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে দেশটিতে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ডমিবা রোববার টোগোর রাজধানী লোমে পালিয়ে যান। গত জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ফলে এ বছর পশ্চিম আফ্রিকার দারিদ্রপীড়িত এ দেশে এটি ছিল দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, বুরকিনা ফাসোতে শুক্রবারের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ সেনা অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইসিওডব্লিউএএস’র পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘বুরকিনা ফাসোর বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং অপরাধী চক্র দমনে দেশটিতে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় থাকা প্রয়োজন।’