শত্রুদের মোকাবিলায় নিজেদের অস্ত্রের উন্নতি এবং একটি অপ্রতিরোধ্য সামরিক বাহিনী গঠন করার প্রতিজ্ঞা করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ নীতি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় দ্বীপের শান্তি বিনষ্ট করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হাওসাং-১৬ সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে ‘প্রতিরক্ষা উন্নয়ন প্রদর্শনীতে’ তিনি এসব কথা বলেন।
কিম বলেন, পিয়ংইয়ং শুধু আত্মরক্ষার জন্যই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে, কারও সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর জন্য নয়। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বারবার বোঝাতে চাচ্ছে তারা উত্তর কোরিয়ার শত্রু নয় কিন্তু তাদের আচার-আচরণ তা প্রমাণ করছে না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদের আরও বেশি শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। গত পাঁচ-দশ বছরের তুলনায় উত্তর কোরিয়া এখন ভিন্ন সামরিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কারণে খুব সহজে কোরীয় দ্বীপের সমস্যা সমাধান হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বারবারই বলে আসছে তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে ইচ্ছুক। তবে তার আগে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে।
এর আগে সদ্য নির্মিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করে উত্তর কোরিয়া। হুয়াসং-৮ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্টি লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। দেশটির পূর্ব উপকূলে ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) ওই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করে জানায়, অস্ত্র ব্যবস্থার ধারাবাহিক উন্নতি দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করছে।