ইসরায়েলে আগামী রোববার (১৩ জুন) নতুন সরকার গঠনের প্রশ্নে ভোটাভুটি হবে। সেখানে এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তবে, কট্টর ডানপন্থী হিসেবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সরাতে এবার একজোট হয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো।
এরইমধ্যে নেতানিয়াহু বিরোধী জোটে উঠে এসেছে মনসুর আব্বাসের নাম। তিনি ইসরায়েলে বসবাসরত আরব-ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড আরব লিস্টের (ইউএএল) নেতা। ইসরায়েলের সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল চারটি আসন পেয়েছে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মনসুরকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কে এই মনসুর আব্বাস? যিনি ফিলিস্তিনি হয়েও ইসরায়েলে সরকার গঠনে অন্যতম নির্ধারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
তবে, মনসুর আব্বাসের এমন রাজনৈতিক ভূমিকাকে ভালোভাবে দেখছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন- দুই জায়গাতেই তিনি ভূমিকা পালন করছেন যা, ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষায় কোন কাজে আসবে না। যদিও নেতানিয়াহুকে হটাতে আপাতত সফল হতে পারেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে তিনি ফিলিস্তিনবিরোধী কট্টর ডানপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
তবে বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন মনসুর আব্বাস। তিনি বলেন, ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নয়নে নেতানিয়াহুসহ ডানপন্থী রাজনীতিকদের সঙ্গে কাজ করতে তার আপত্তি নেই। নতুন জোট সরকার গঠন করতে পারলে তিনি ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ইসরায়েলি শহরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও অপরাধ দমন করবেন।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় মাগহার জেলায় ১৯৭৪ সালে মনসুর আব্বাসের জন্ম। তিনি হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম থেকে দন্তচিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব হাইফায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনে তিনি আরব স্টুডেন্টস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। সান্নিধ্যে আসেন ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ নিমার দারউইশের। এভাবেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..