রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দাখিল করা ৪৯টি মামলার বাদিকে খুঁজে বের করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশনা দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
ওই সব মামলায় একরামুল আহসান কাঞ্চন ৪ বছরের বেশি দিন কারাভোগ করায় ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির এ রিট আবেদন দাখিল করেছেন।
রিট আবেদনে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই গায়েবি ও ভুয়া দাবি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, সিআইডি ও এসির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদি করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো: রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির জানান, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় একরামুল আহসান কাঞ্চন অনেক মামলায় নিম্ন আদালত থেকেই খালাস পেয়েছেন।
সব মিলে ওইসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করেছেন একরামুল আহসান কাঞ্চন। এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। এ কারণে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছেন সেসব বাদিকে খুঁজে বের করা এবং একরামুল আহসান কাঞ্চনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।