মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া অভিযান চালিয়ে রক্তপাত সৃষ্টির বিষয়ে গত রোববার কঠোর সমালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সাত শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর এ রক্তপাতকে তিনি ‘একেবারে জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক নেতা অং সান সুচি সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত এবং বন্দি হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে উপর্যপুরি গুলি বর্ষণ করলে মিয়ানমারজুড়ে কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়। বাইডেন তার নিজ রাজ্য দেলাওয়ারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের পদক্ষেপ ‘খুবই ভয়ঙ্কর।’
তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর লাগামহীন অভিযানে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। আর এ ধরনের পদক্ষেপ একেবারে জঘন্য।’ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভয়াবহ এ সহিংসতাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইইউ বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গতকাল যে রক্তপাত ঘটিয়েছে তা খুবই ভয়ঙ্কর এবং লজ্জার।’
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়াসহ ১২টি দেশের নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এমন জঘন্য কর্মকান্ডের নিন্দা জানানোর পর এমন ভৎসনা করা হলো।
স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গ্রুপের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর: এএফপি।