চট্টগ্রামে পাহাড়তলী থানার নাছিরাবাদে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন নিজাম উদ্দিন নামে এক যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের ফাঁসি চেয়েছেন মা জিন্নাত আরা বেগম। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিলাপ করে নিজের ছেলের ফাঁসি চান তিনি।
তিনি বলেন, দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলো। পারিবারিক জায়গা নিয়েও বিরোধ ছিল। আমার ছেলের খুনের জন্য আমার আরেক ছেলে কামরুল ইসলাম দায়ী। আমি তার ফাঁসি চাই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার বড় নাতি ইমন দেখছিল, নিজাম তার ভাইয়ের পা ধরে বলছিল মাফ করে দাও। কিন্তু সে মাফ করেনি। খুন করে ফেলেছে।
নিহত নিজামের স্ত্রী নাসরিন আকতার সুমি বাক প্রতিবন্ধী। তিনি নিজের ভাষায় বলার চেষ্টা করছিলেন সব ঘটনা। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তার মা ও শাশুড়ি।সুমি জানান, অনেক দিন ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল কামরুল। হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। সুমির ছেলে ইব্রাহিমের বয়স মাত্র ৮ মাস। মেয়ে বিবি মরিয়মের বয়স আড়াই বছর।
নিহত নিজামের বোন বিবি জোহরা মুক্তা বিলাপ করে কাঁদছিলেন ভাইয়ের শোকে। তিনি বলেন, আমার ভাতিজা, ভাতিজির কী হবে। এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরের পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। নিহতের নাম নিজাম উদ্দীন মুন্না। অভিযুক্ত তার ভাই কামরুল। এদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, বার কোয়ার্টার এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিজাম উদ্দীন মুন্না নামে একজন নিহত হয়েছে। তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানতে পেরেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..