ব্রাক্ষণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু। যিনি সব সময় সমাজের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। সমাজের অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কলম যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। প্রতিবাদী সাংবাদিক হিসেবে পুরো জেলায় মিশুর নাম ছড়িয়ে রয়েছে।
দেশের পূর্বাঞ্চল সীমান্তে মাদকের বিরুদ্ধে একাধিক আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাহসী, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য ২০১৯ সালের ‘মৃত্তিকা পদক’ পেলেন দৈনিক যুগান্তরের আখাউড়া প্রতিনিধি ও আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু।গত বছরের ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক জাঁকজমকপূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু সম্মাননা পদক অর্জন করেন।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে সাংবাদিকতার পেশায় নিয়োজিত থেকে অসহায় নিপীড়িত মানুষের জন্য কলম চালিয়েছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, সততা দিয়ে সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মহিউদ্দিন মিশু। সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোঁবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য সব সময় প্রতিবাদী ছিলেন তিনি। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মাদক ব্যবসায়ি, চোরাকারবারি, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কলম যুদ্ধ চালিয়েছেন। জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর, যমুনা টেলিভিশনসহ একাধিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তাকে হত্যার জন্য বার বার হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।অসৎ ব্যক্তিদের রক্তচক্ষু আর অপরাধীদের দায়ের করা মামলা কিংবা হামলায় সর্বস্বান্ত করার ব্যর্থ অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত থাকলেও মিশু পেশাগত কাজে সততার সঙ্গে আরও এগিয়ে গেছেন।
আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মধ্য দিয়ে সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরছেন মহিউদ্দিন মিশুতে তৈরি হয়েছে জনমত। সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা হয়ে উঠেছেন তিনি। আর এখানেই তার সাফল্য।বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সুবীর আহম্মেদ বলেন, নিরপেক্ষ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা কাকে বলে, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মহিউদ্দিন মিশু।
বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে একজন করে মিশুর মত সাংবাদিক গড়ে ওঠুক, বাংলাদেশ হোক মাদক মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত।