দেশের সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। অবস্থার উন্নয়নে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ’ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করবে বিআরটিএ। যা কার্যকর হবে জুলাই থেকে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, বিআরটিএ। দেশের সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত যাত্রী ও পণ্যপরিবহন করে প্রায় ৪০ লাখ যানবাহন। আর এসব গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স আছে কিনা তা মূল্যায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, বিআরটিএ। যার অধীনে থাকা ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা একেবারেই কম।
রোববার হাইকোর্টে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে বিআরটিএ। যেখানে বলা হয়, এখন থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ’ মটরযান পরীক্ষার ক্ষমতা সম্পন্ন ফিটনেস টেস্টিং হবে। আর এর জন্য নির্মাণাধীন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের কাজ শেষ হচ্ছে জুলাইতে।
এ প্রসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার অন্যতম একটি কারণ ফিটনেস। বর্তমানে সড়কে চলমান ৩৩ ভাগ গাড়ির কোনো ফিটনেস সনদ নেই। তারা আজ জানিয়েছে, নতুন করে ফিটনেস সেন্টার খোলা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিরপুর এলাকায় ১২ লেন বিশিষ্ট অটোমেটিক ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টারটি চালু হলে মিরপুর সার্কেল-১ অফিস থেকে প্রতিদিন ৪৫০টি মোটরযানের ফিটনেস পরীক্ষা সম্ভব হবে। গত ২২ সেপ্টেম্বর আনফিট গাড়ি সড়কে চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য দেশে যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ জাতীয় আরো খবর..