প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নামে ভুয়া পেইজ খুলে ছড়ানো হয়েছে প্রতারণার জাল। মোবাইল সেট, ঘড়ি, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে অর্ডার করছেন গ্রাহক। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে অকেজো, বাতিল পণ্য। মিরপুর মডেল থানায় এক ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন প্রতারণার কাহিনী।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এমনই এক ভুক্তভোগীর মামলার তদন্ত করে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকা থেকে ৬ প্রতারককে আটক করে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি টিম।
প্রতারকরা প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স সাইট দারাজে’র নামের সাথে শব্দ যোগ করে নাম দেয়। দারাজ অনলাইন, দারাজ অনলাইন ৭১, দারাজ এক্সপ্রেস, দারাজ অনলাইন বিডিসহ বিভিন্ন পেইজ। মোবাইল, ঘড়ি, জুতা, থ্রি পিসসহ সব ধরণের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে এর আড়ালে চলে প্রতারণা।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, ‘এই ৬ জন তাদের ই-কমার্স পেইজের মাধ্যমে মোবাইল বিক্রি করতো।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোবাইল অর্ডার পেয়ে অর্ডারকৃত মোবাইল না দিয়ে নস্ট ও অকেজো মোবাইল সেট এসে এ পরিবহনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌছে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতো। ই-কমার্সের প্রতারণা রোধে একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।গ্রেফতারকৃতরা হলো-রকি বিশ্বাস (২৫), মোঃ হেকমত আলী (২৭), মোঃ কচিবুর রহমান (২২), শিমুল মন্ডল (২৭), মোঃ আনিছুর রহমান শেখ (২৯) ও মোঃ মাজহারুল ইসলাম (২৪)।
গ্রেফতার ৬ প্রতারক
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত এসএ পরিবহন পার্সেল এন্ড কোচ সার্ভিসের বুকিং মেমো ২০২টি, পণ্য বিক্রয়ের ক্যাশ মেমো ১১৭টি, ৪৬ জোড়া বিভিন্ন রংয়ের ব্যবহারের অযোগ্য জুতা, ১০টি চার্জার, ০১টি ল্যাপটপ, ১৫টি বিভিন্ন পণ্যের বুকিং ফেরতযোগ্য বক্স, ১২টি বিভিন্ন মডেলের ব্যবহারের অযোগ্য মোবাইল ফোন ও ব্যবহারযোগ্য ১৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকাল ৩:৩০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার।
এ জাতীয় আরো খবর..