জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে বের করা ভাস্কর্যবিরোধী মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে এ মিছিল বের করা হলে ১৫জনকে এ সময় পুলিশ আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের দিকে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়।
মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু বলেন, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে আমরা আগে থেকে অ্যালার্ট ছিলাম। হঠাৎ করে একদল হুজুর বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিল। আমরা পল্টনে ব্যরিকেড দিয়েছিলাম। তারা সেটা ভেঙে ফেলে। এরপর আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।
সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের প্রচার সচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম জানান, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর জুমার পর দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কর্মসূচি পালনে রাজধানীতে সম্মিলিত ইসলামি দলসমূহের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি। আমরা শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করি।
উল্লেখ্য, গতকাল জুমার নামাজের শুরু থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকাকে কেন্দ্র করে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল পল্টন এলাকায়। মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি চালায় পুলিশ। জুমার নামাজের পর সাধারন মুসল্লিরা উত্তর গেটের সিঁড়িতে জড়ো হতে থাকে, তাদের সঙ্গে কয়েকটি ইসলামি দলের সদস্যরা যোগ দেন। এক পর্যায়ে বেশ কিছু লোক রাস্তায় নেমে মিছিল শুরু করলে পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ফের মসজিদের ভেতরে চলে যায়। পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে ফের মিছিল শুরু করে তারা। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন।সুত্র: ইনকিলাব