সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্ত। ২৮ নভেম্বর, ২০২০ শনিবার বিকাল ০৪.২৫ টায় রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়া, মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম। গ্রেফতারের সময় তার নিকট হতে অশ্লীল ছবি, অশ্লীল ভিডিও, ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।
সহকারি পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ পিপিএম ডিএমপি নিউজকে বলেন, ভিকটিম রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশান ডিজাইনে অনার্সে অধ্যয়নরত ছিল। অধ্যয়নকালে তার সহপাঠী সীমান্তের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩০ জুলাই ২০১২ তারিখে ভিকটিমকে সীমান্ত মোহাম্মদপুরে তার নিজ বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের মতের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে অশ্লীল ছবি তোলে এবং তার কাছ থেকে বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়। পরবর্তী সময়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কাগজ পত্র তৈরী করে সীমান্ত। এর ফলে ভিকটিম নিজের সম্মান ক্ষুন্ন ও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
পরবর্তীতে ভিকটিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখ নোটারী পাবলিক সদর, চট্রগ্রাম হতে হলফ নামার মাধ্যমে হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্তকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর সীমান্ত ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে সীমান্তের সাথে ভিকটিমের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি প্রেরণ করে। এছাড়াও সীমান্ত ভিকটিমের নিকট বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করতে থাকে এবং বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে তা প্রচার করতে থাকে।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলা তদন্তভার ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের নিকট হস্তান্তর হলে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।