1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

মাইন্ড এইড হাসপাতা‌লের কর্মচারী‌দের নির্যাত‌নে পু‌লি‌শের এএসপির মৃত‌্যু : গ্রেফতার ৬

নিজস্ব প্রতি‌বেদক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০
  • ৫৩১ বার পঠিত
ছ‌বি: সংগৃ‌হিত

চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে মৃত্যু হলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিমের। সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশনে তিনি মারা যান। এর আগে মানসিক চিকিৎসার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। পরিবারের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ভর্তির পরপর সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনকে আটক করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ভি‌ডিও ক্লিপ দে‌খে পু‌রোপু‌রি বুঝা যায় যে ছয় সাত হাসপাতা‌লের স্টাপ পু‌লিশ কর্মকর্তা‌কে ফ্লো‌রে শুই‌য়ে দি‌য়ে চাপাচা‌পি ও নির্যাতন ক‌রে । এবং তা‌দের নির্যাত‌নেই তি‌নি মারা যান।

ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার সময় কেউ একজন তা ভিডিও করে; যা পরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওর কথাবর্তায় ধারণা করা যায়, হাসপাতালের ফুটেজ দেখার সময় আটককৃতদের কয়েকজন পুলিশের সঙ্গে ছিলেন এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ মিলিয়ে নিচ্ছিলো পুলিশ।

আনিসুল করিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ব্যাচ বায়োকেমিসট্রির ছাত্র ছিলেন এবং ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি স্ত্রীসহ ৩ বছর বয়সের এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুর সদরের বারুদা এলাকার মুসলিমাবাদ রোডে।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে তার ভাই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা তাকে নিয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাদের জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। এরপর তারা তাকে দ্রুত হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী।সুত্র:সময়‌টি‌ভি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com