সুমি আক্তার একজন পেশাদার প্রতারক। জন্মসুত্রে ভারতীয় তার বাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া এলাকায় বাবার নাম কালা মিয়া। সুত্র জানায়, প্রতারক সুমি ওঠতি বয়সী যুবকদের সাথে প্রেম ভালবাসার অভিনয় করে সম্পর্ক স্থাপন করে। একাধিক যুবকদের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে । বিভিন্ন যুবকদের প্রেমের ফাদে ফেলে পুরাতন চৌয়ারা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে ব্লাক মেইল করে টাকা আদায় করার তথ্য জানা যায়, অনেকে সম্মানের ভয়ে মুখ খোলেন না। এছাড়াও একাধিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে । বিয়ের এক বা দুইমাস পরে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবী করে ।
ভুক্তভোগি যুবক কুমিল্লা মহানগরীর মুরাদপুর এলাকার রুবেল (ছদ্মনাম) নামের যুবক জানায়, কান্দিপাড়ে একটি দোকানে শপিং করাকালীন পরিচয় হয় সুমি আক্তারের সাথে । তারপরে মোবাইলে কথা বলার এক পর্যায়ে সুমির সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনে সিদ্বান্ত নিয়ে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে এক লক্ষ টাকা কাবিনের মাধ্যমে তারা বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে।দাম্পত্য জীবনে এক সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের কিছু দিন পর সন্তানটি মারা যায়, কিছুদিন পর রুবেলের ঘরে থাকা টাকা পয়সা ও মুল্যবান স্বর্ণলংকার চুরি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রুবেল তার স্ত্রী সুমিকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও কোন সন্ধান পায়নি।। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার দিয়ে রুবেলের নাম্বারে কল করে দুই লক্ষ টাকা দাবী করে। প্রতারক সুমি রুবেলকে বলে টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করে জেলে দেওয়ার হুমকি ।এভাবে প্রতারক সুমির কবলে পড়ে নিস্ব হচ্ছে অনেক যুবক। এ দিকে সুমির ভয়ে নিরুপায় হয়ে রুবেল আতংকের মধ্যে জীবন যাপন করছে। বি:আ: