বিএনপি ও জামায়াতের মহাসমাবেশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পুলিশ সদস্য পারভেজকে হত্যা করার অভিযযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোয়া ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ। তার বাবার নাম মো. সেকান্দার আলী মোল্লা। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামে।
তিনি বর্তমানে কনস্টেবল হিসেবে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৩-০৮-২০১১ তারিখে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
তিনি জানান, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ফকিরাপুল এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে ঢামেকে আনা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত হয়েছিল। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে ওই পুলিশের সদস্যের ইউনিফর্মে থাকা নাম সম্বলিত ব্যাজটি ছিঁড়ে যায়। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানা সম্ভব হয়নি।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রায়হান নামে এক যুবক বলেন, ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, তখন তিনি ও আরও চার পুলিশ একটি ভবনে ঢুকে পড়েন। ভয়ে তাদের সঙ্গে ভবনটিতে ঢোকেন রায়হান। সেখান থেকে হঠাৎ ওই পুলিশ সদস্য বাইরে বেরিয়ে যান। তখনই তার ওপর হামলা চালানো হয়। তার মাথায় আঘাত করা হয়। সেখান থেকে অন্য পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে গতকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। রাতে প্রায় দুইশ নেতাকর্মীকে সেখানথেকে আটক করা হয়। আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির সশাবেশস্থলে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
অন্যদিকে একইসময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। পল্টন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এছাড়া শাপলা চত্ত্বরের কাছাকাছি নটরডেম কলেজের সামনে সমাবেশ করে জামায়াত। তাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
বিকেল ৩টা ৩৯ মিনিটে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেল দাবি করে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। বানি