অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা, অনিয়ম রোধ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স এই তিন বার্তাকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের নতুন মিশনের সুচনা । প্রদীপকাণ্ডের পর বদলে দেয়া কক্সবাজার জেলা পুলিশের নতুন সদস্যদের এই বার্তা দিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করে রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
কক্সবাজার চকরিয়া থানা থেকে শুরু হল সফলতার মিশন
চলতি সপ্তাহে কক্সবাজার জেলায় যোগ দিয়েছেন পুলিশের ১৫০৭ জন সদস্য। কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার সবাই এখানে নতুন। আর আকস্মিকভাবে বদলী হয়ে আসা এসব পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মনোবল ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে বিশেষ মিশন। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চকরিয়া থানা থেকে শুরু হয় মনোনল ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম।
চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কয়েকটা বিষয় নিয়ে জিরো টলারেন্স প্রয়োগ করব। এক মাদক, শৃংখলা ও দুর্নীতি।
দেশজুড়ে মাদক বিস্তারে চরম সমালোচনায় রয়েছে কক্সবাজার জেলার। কোনোরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই জেলার মাদক নির্মূলে দায়িত্ব নিতে হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। ভাষাসহ নানামুখী জটিলতায় নতুন এক চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব।
৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ দাশ এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। এ সমালোচনার জের ধরে গত সপ্তাহে কক্সবাজার জেলা পুলিশকে পুরো বদলে দেয়া হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..