সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের চারনেতাসহ ৬ ধর্ষককে খুঁজছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।গতরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের সাইফুরের কক্ষ থেকে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে, কলেজের সামনে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ। অভিযুক্তরা সংগঠনের নেতাকর্মী হলেও সবার কঠোর শাস্তি দাবি তাদের।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে, সিলেট-তামাবিল সড়কে অবস্থান নেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় দাবি ওঠে, ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ছাত্রত্ব বাতিলের।
এদিন সকালে, নগরীর শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে। এছাড়া, শুক্রবার রাতে তার কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পাইপগানসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়ও মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায়ও প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছে সাইফুরের নাম।
শুক্রবার সন্ধ্যায়, স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এ জাতীয় আরো খবর..