রাজধানীর লালবাগ ও শাহবাগ এলাকা হতে ছদ্মবেশী ৯ নারী পকেটমার ও তাদের ৭ মহাজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। এ সময় তাদের সাথে থাকা বিভিন্ন মডেলের ৪০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ মাহাবুব হোসেন, মোঃ মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইমরান হোসেন, বর্ষা আক্তার ওরফে মীম, সুমি আক্তার প্রিয়া, শাবনূর, আলেয়া ওরফে আলো, সাথী আক্তার, ছৈয়াদ হালদার, মোঃ আশরাফ ঢালী, মোঃ জাকির হোসেন, মোছাঃ ছকিনা বেগম, সুজনা আক্তার ওরফে সুজিনা আক্তার ওরফে রুশকিনা, মোসাঃ তানিয়া খানম ও তাসলিমা খাতুন।
আজ সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম-সেবা।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট ও ইডেন কলেজ, বদরুন্নেছা কলেজ এবং আজিমপুরের ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হচ্ছে। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার আজিমপুর ও গুলিস্থান এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
তিনি বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট, আজিমপুর, গুলিস্থান, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেট ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে নারীদের ভ্যানেটিব্যাগ এবং পুরুষদের শার্ট-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করতো।
চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, চক্রের নারী সদস্যদের সঙ্গে কখনো কখনো ছোট শিশু থাকে, তারা বোরকা পরা অবস্থায় শিশু কোলে নিয়ে স্নেহময়ী মায়ের ছদ্মবেশে থাকে। ফলে তাদের ব্যাপারে কারও সন্দেহ জাগে না। তারা এক সঙ্গে দুই জন থাকে। একজন টার্গেটকৃত মহিলাকে চাপ দেয়, অন্যজন কৌশলে চোখের পলকে ভ্যানিটিব্যাগের জিপার খুলে মুঠোফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আনা-নেওয়া ও বিপণী বিতানে যাওয়ার সময় কিংবা গণপরিবহনে উঠার সময় নিজের মূল্যবান জিনিস, মোবাইল ও নগদ টাকার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানান ডিবির এ কর্মকর্তা। নিজের মূল্যবান জিনিস, মোবাইল কখনো চুরি হলে বা হারিয়ে গেল জিডি বা মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। শাহবাগ থানা ও লালবাগ থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।