কুমিল্লার হোমনায় এক রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফকির বাড়ি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন সানজিদা আক্তার (২০) ও তার ছেলে আবদুল্লাহ (২)। সানজিদা উপজেলার ফকির বাড়ি এলাকার বাবু মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই শরীফ মিয়া বলেন, তিন বছর আগে বাবু মিয়ার সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। কিছুদিন তাদের সংসার ভালো চললেও ছেলে আবদুল্লাহ’র জন্মের পরই বাবু পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এছাড়া শ্বশুর বাড়ির অন্য সদস্যরাও তার বোনকে কারণে-অকারণে মারধর করতো। এ কারণে সানজিদা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে আসলেও ভাষানিয়া ইউনিনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল উদ্দিনের কথায় আমরা আবার তাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠায়।
সানজিদা আক্তারের বাবার অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা সানজিদাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, সানজিদাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছে। এ নিয়ে ৫-৬ বার শালিসও হয়। সর্বশেষ বৈঠকে আমি ছিলাম। ওই বৈঠকে সানজিদার বাবা মেয়েকে দিতে রাজি ছিল না। কিন্তু আমরা স্থানীয়রা সবাই বুঝিয়ে মেয়েটাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়েছিলাম।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘরের দরজা ভেঙে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা এবং ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।