রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে চার মেয়রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ মে) ছিল মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমার শেষ দিন। শেষ দিন পর্যন্ত মেয়র পদে চার জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪২ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছিলেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রথম দিন থেকে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা আচরণবিধি মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর প্রার্থীরা যেন নির্বাচন চলাকালে সব আচরণবিধি মেনে চলেন সেই ব্যাপারেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মেয়র পদে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানকারী চার জন হলেন– আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির আনোয়ার লতিফ (গোলাপফুল)।
এই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে আগামী ২৫ মে। ১ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আগামী ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এবং ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী যদি মনে করেন তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বাছাইয়ে সুবিচার পাননি, তাহলে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। আর রাজশাহীর জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ ভোটার ভোট দেবেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। গত বছর ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার।
আগামী ২১ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এবার সম্ভাব্য ১৫২টি ভোট কেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।