মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনার পর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তার নতুন কর্মস্থল রাজশাহী জেলা। তার স্থলে কক্সবাজারে নতুন এসপি হয়ে আসছেন ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযয়ের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশে পুলিশের উচ্চপদস্থ ছয় কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বদলি করা হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর সিনহা হত্যা মামলার আইনজীবী মো. মোস্তফা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, কক্সবাজারের এসপি মাসুদ সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। এসপি মাসুদ কক্সবাজার জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে কারাগারে বিভাগের ব্যবস্থা করার জন্য। অভিযুক্তদের পক্ষে এসপি মাসুদ তার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন ওই আইনজীবী।
এদিন এসপি মাসুদের সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট ১০টি পয়েন্ট উল্লেখ করে তাকে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেন মামলার বাদী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। শুনানি শেষে তদন্ত কাজে বাধা দিলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে যে কারও বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে উল্লেখ করে একটি নির্দেশনা দিয়ে বাদীর আবেদন ফিরিয়ে দেন আদালত।
এসপি মাসুদ হোসেনকে বদলির পর এক প্রতিক্রিয়ায় সিনহা হত্যা মামলায় বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, আমার বাবাও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সরকারি চাকরি ট্রান্সফারেবল। তারও (এসপি মাসুদের) বদলি হতেই পারে। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা যাচাই করতে তাকে আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা। তিনি যেখানেই যাক, ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে আমাদের সেই দাবি অব্যাহত থাকবে।