ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী প্রতিরক্ষা
বাঁধে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম
মো.জাকির হোসেন
কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর মনোহরপুর-অলুয়া সড়কটির নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামমাত্র কাজ করায় সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার বুড়িচং সীমান্ত সংলগ্ন গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের মালাপাড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর-অলুয়া সড়কটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এই স্থানটি উপজেলা সদর থেকে কিছুটা দুরের পথ। সড়কটি অনেকটা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাছাকাছি হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনে এই সড়কে যাতায়েত করে বা ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট বা কুমিল্লা শহর বা বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছঁতে অনেকটা সুবিধাজনক হওয়ায় মালাপাড়া ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার লোকজন এই সড়ক ব্যবহার করে। সড়কটির বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় গত কিছুদিন আগে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল থেকে সংস্কার কাজে দরপত্র আহবান করে।
সুত্র জানায়, প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই সড়কটি নির্মান কাজে ঠিকাদারী পায় মিজান নামের এক ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠান। ৪৪ লাখ টাকা মূল্যমানের কাজটি সংস্কারের ছিল। সিরাজ নামের স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়কটির সংস্কার নামমাত্র কাজ হিসেবে চলছে। সাধারন মানুষ ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারেনা । সড়কটির পুরাতন পিচ উঠিয়ে বিভিন্নস্থানের খানা-খন্দকের গর্তগুলোতে নিম্নমানের খোঁয়া ব্যবহার করতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার দুপুরে সড়কটির পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদার। এসময় পুরাতন সড়কটির উপর নতুন ইট,খোয়া বা বালূর অস্তিত্ব চোঁখে পড়েনি।
বিষয়টি জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজান ট্রেডার্সের মালিক মিজান বলেন, আমার লাইসেন্স দিয়ে কাজ হলেও এই কাজ করছে অন্য একজন আমার লাইসেন্সে কাজ করছে। কিন্তু তিনি ওই ঠিকাদারের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, ১৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে কাজটিতে ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করার কথা ছিল। আমার উপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে কাজটি শুরু হয় বলে জানান।