বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার রেলওয়ে জংশন খ্যাত শহর সান্তাহারসহ উত্তরাঞ্চলের জেলা উপজেলা গুলোতে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া হানা দিয়েছে। যার ফলে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। অন্যদিকে ঠান্ডা জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধরা।
শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। খেটে খাওয়া দিন মজুর ও স্বল্প আয়ের মানুষ শীতের প্রকোপে ঘরের বাইরে যেতে পারছে না।
আজ ৩রা জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, রেলস্টেশন এলাকা ছিলো প্রায় জনশূন্য অধিকাংশ দোকান পাটই ছিলো বন্ধ। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সান্তাহার রেলস্টেশন ও ফুটপাতের কোন চা-বিক্রেতাকে দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ১০ টায় সান্তাহার রেলস্টেশনে তেমন যাত্রীদের দেখা মেলেনি।
বগুড়া আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ দিন বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে হালকা বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ২২ কিলোমিটার ও আদ্রর্তা ছিলো ৫৩ থেকে ৬৮ শতাংশ। এ দিন আকাশ মেমলা থাকার কারণে সুর্য্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
প্রচন্ড শীতের কারণে বেশীর ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ-কর্ম না করতে পারার কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। দুর্ভোগ বাড়ছে দুঃস্থ ও হতদরিদ্র পরিবার গুলোর। এ দিকে শীতের তীব্রতার মাঝে রবিবার আদমদীঘি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ৬৩ গরীব-অসহায়, দুঃস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত শীতের ৭শত কম্বল বিতরণ করেন।
আগামী তিন দিন শীত ও কুয়াশার তীব্রতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বগুড়া আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।