ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রান হারালেন কবির হোসেন ওরফে ছোটন মিয়া (৫৫) নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। গতকাল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের কন্যা লাভলী আক্তার বাদী হয়ে ২জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
অভিযোগ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামের ডেকোরেটর মালিক কবির হোসেন ওরফে ছোটন মিয়ার নিকট থেকে প্রায় ৯ মাস পূর্বে একই গ্রামের রিক্সাচালক সেলিম মিয়া ৪৩ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। দীর্ঘ সময় ধরে পরিশোধের বিভিন্ন তারিখ দিয়েও পরিশোধ করছেনা সেলিম মিয়া। পরে গতকাল শুক্রবার ১০ হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় দেনাদার সেলিম মিয়া। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাওনাদার কবির হোসেন টাকা আনতে সেলিম মিয়ার বাড়িতে গেলে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার কবির হোসেনের বুকে ও তলপেটে সজোরে ঘুসি ও লাথি মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের বেদড়ক পিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে কবির হোসেন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কবির হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত কবির হোসেন ৬ সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নিহতের কন্য লাভলী আক্তার বাদী হয়ে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন: পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কবির হোসেন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু করেছে নিহতের কন্যা। এ ঘটনায় স্বামী স্ত্রী দুইজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।