খাদ্য শস্যের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেয়া ও বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয়া হাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির উদ্ধোধন করেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন- সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। উদ্বোধনের ১০ মিনিটের মধ্যেই সুবিধাভোগীদের কার্ড না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় চাল বিতরণ।
ছাতনী এলাকার শহিদুল ইসলাম নামের একজন উপকারভোগী বলেন, সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমার কাছে থেকে ১২০ টাকা নিয়েছে আমাকে কার্ড ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু আমাকে এখনো কার্ড দেয় নাই। আমি চাল নিতে এসে কার্ড না থাকায় চাল পাচ্ছি না।
সান্তাহার ইউনিয়নের বাসিন্দা রিপু নামে আরেক উপকারভোগী বলেন, আমি ৫ বছর ধরে চাল পাই আমার কার্ডও আছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর তালিকায় নাম থাকা স্বত্বেও ৬ মাস ধরে চাল ও আমার কার্ড দিচ্ছে না ইউপি চেয়ারম্যান।
কার্ড দেওয়ার নামে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির নিকট নাগরিক খবরের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,টাকার বিনিময়ে কার্ড করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
কার্ড অনলাইন করার জন্য ইউপি সদস্যদের ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি কোন ইউপি সদস্য ৫০ টাকার বেশি নেয় সেই দায় আমার নয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের খাদ্য বান্ধব কার্ড করার জন্য যে তালিকা তৈরি করেছিল সেই তালিকাতে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের কার্ড ভুয়া আছে। সেই কারণে কার্ড বিতরণ করা হয়নি।
সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, খাদ্য বান্ধবের কোনো ভুয়া কার্ড নেই। তিনি আমার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে উপকারভোগীদের হয়রানি করেছে।
খাদ্য বান্ধব চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম রব্বানী বলেন, সান্তাহার ইউপির জন্য নতুন করে ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে এবং খাদ্য বান্ধবের কার্ড চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের কাছে হস্তান্তর না করার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।