ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত নারীদের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
২০২২-২৫ চক্রে নারীদের জন্য আইসিসির প্রথম এফটিপিতে ৫০টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ২৪টি ওয়ানডে ও ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের। কোন টেস্ট ম্যাচ নেই বাংলাদেশের।
আইসিসির ২০২২-২৫ চক্রের এফটিপিতে ১০টি দল মোট ৩০১টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। যেখানে ১০টি দলই চারটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। তাতে সর্বমোট ৭টি টেস্ট, ১৩৫টি ওয়ানডে এবং ১৫৯টি টি-টোয়েন্টি হবে। ৭টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এফটিপিতে আটটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মত দলকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলবে টাইগ্রেসরা।
বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
আগামী ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর নতুন বছর জানুয়ারিতে শ্রীলংকায় তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগ্রেসরা।
২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
পরবর্তীতে আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে বাংলাদেশ নারী ক্রিওকেট দল । সেখানেও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে টাইগ্রেসদের।
২০২৪ সালের মার্চে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
একই বছরের ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের।
এফটিপিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ নারী দলেল ২০২২-২৫ চক্রের খেলা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামবে টাইগ্রেসরা।
২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর ওয়ানডেতে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৪৯টি ম্যাচ খেলেছে টাইগ্রেসরা। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরুর পর ৭৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।