সম্প্রতি এলপি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু কুমিল্লায় নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা বলেছেন, বিইআরসির নির্ধারিত মূল্যর চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। যার ফলে বাধ্য হয়ে ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।aa
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির দাম ১ হাজার ২১৯ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বসুন্ধরা, টোটাল ও ওমেরা এলপি গ্যাস ১ হাজার ৩৫০ টাকা, বিএম ১ হাজার ২৯০ টাকা, যমুনা ১ হাজার ৩৪০ টাকা, ইউনি ১ হাজার ৩০০ টাকা, ফ্রেস ১ হাজার ২৮০ টাকা, জি গ্যাস ১ হাজার ২৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাড়ে ৫ কেজি, ১৫ কেজি, ২০ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দামও আনুপাতিক হারে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
নগরীর ঠাকুর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে সাড়ে ১২০০ টাকার মধ্যে এক বোতল গ্যাস কিনেছি। এখন দেখছি সরকার নির্ধারিত মূল্যের ছেয়ে প্রায় এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এভাবে লাগামহীন ভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএম গ্যাসের পরিবেশক সরকার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আমান উল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে গত দু-তিনদিন থেকে কোম্পানি নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। সে ক্ষেত্রে বহন খরচসহ আমাদের ডিলার প্রাইজ প্রায় ১ হাজার ২৬০ টাকার ওপর পড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কোম্পানির সঙ্গে আলাপ আলোচনায় আছি। দেখা যাক কী করা যায়।
মেসার্স পুষ্পিতা এন্টারপ্রাইজের মালিক তাপস চন্দ্র দাস বলেন, ‘এখন আমাদের ব্যবসা করাটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ক্রয় দাম থেকে বিক্রয় দাম কম। বর্তমানে বিক্রয় দাম দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২১৯ টাকা অথচ আমাদের ক্রয় মূল্য ১ হাজার ২৮০ টাকার ওপরে। স্বাভাবিক কারণেই আমরা প্রতি বোতল গ্যাস খুচরা বিক্রি করছি ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এরপরও ভোক্তাদের সঙ্গে আমাদের প্রায় বাগবিতণ্ডা করতে হয়।
সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নির্ধারিত দাম আর আমাদের বিক্রয় দামের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। সে বিষয়টি বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হোক।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম নাগরিক খবরকে বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কোনো ব্যবসায়ি বেশি দামে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে ভোক্তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। তাহলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।