ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি সভায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, ফুলগাজীতে বন্যদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন আসার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি বৈঠকে বসে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বিএনপির অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও সেখানেও গুলি ও বোমাবর্ষণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, হামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ভিপি ফখরুল আলম স্বপন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম রসুল গোলাপ, নুরুল হুদা শাহিন, ফুলগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আকবর হোসেন, সদস্য মোহাম্মদ দিদার, শিমুল, রবিউল হক বাবু ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রতন মোক্তারের নাম জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ জানান, ফুলগাজীতে এখন বন্যা নেই। ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পদ্মা সেতুসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এসময় যুবলীগ নেতা মিজানকে তারা মারধর করে। এ খবর শোনার পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, বিকেলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানি