সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কপোতাক্ষ নদের তীরে অ্যাসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে নবদম্পতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ দম্পতিকে প্রথমে খুলনায় ও পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা পুলিশ ও আহত দম্পতির পরিবারের।
দগ্ধরা হলেন পাটকেলঘাটার কাশিপুর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে তামান্না খাতুন (২৫) ও তার স্বামী পুরাতন সাতক্ষীরার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০)।
আহত তামান্নার ছোট বোন রুমানা খাতুন জানান, গত ১৫ এপ্রিল তার বড় বোনের সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের বিয়ে হয়। ঈদের একদিন আগে বোন জামাই ফরহাদ তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তারা কপোতাক্ষের তীরে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক এসে অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ তাদের শরীরে নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। এতে তারা দগ্ধ হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বোন জামাইয়ের শরীরে কিছু অংশ পুড়লেও বোন তামান্নার মুখমণ্ডলের আংশিক এবং শরীরের সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে বলে জানান রুমানা খাতুন।
তামান্নার বাবা শেখ আব্দুল হক জানান, তামান্নাকে আগে কলারোয়ার তুলসিডাঙ্গার সাদ্দাম হোসেন নামের মালয়েশিয়া প্রবাসী একজনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যৌতুকের চাপ ও পারিবারিক নির্যাতনসহ নানা কারণে তাকে তালাক দেওয়া হয়। সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন। তালাকের প্রতিশোধ নিতে সাদ্দামই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল হক বাদী হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।