চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এমভি টিটু-১৪ লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নুরুল আবছার দুলাল (৩৮) নামে আরও এক নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
এই ঘটনায় এই নিয়ে দুই নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও দুই নাবিকের সন্ধান এখনো মেলেনি। এছাড়া জাহাজ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে পরিবারের লোকজন একটি বোট নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুয়াখালে মরদেহটি ভাসতে দেখে। পরে খবর দিলে কুমিরা ফাঁড়ি নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নুরুল আবছার দুলাল চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার দক্ষিণ ভুইয়া গ্রামের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে।
নৌপুলিশ কুমিরা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহামম্মদ একরাম উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার একটি মরদেহ পাওয়ার পর নিঁখোজ পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার সকাল থেকে বোট নিয়ে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা সুয়াখালে একটি মরদেহ দেখতে পান।
তিনি বলেন, দুলাল ডুবে যাওয়া এমভি টিটু-১৪ তে গ্রিজার ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আবুল খায়ের গ্রুপের ওই জাহাজটিতে কর্মরত ছিলেন।
নৌপুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, দুলালের উদ্ধার হওয়া সহকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে অন্য সবাইকে লাইফ জ্যাকেট সংগ্রহ করে পরিয়ে দেন তিনি। লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সবাইকে সাগরে লাফ দিতে বলেন। কিন্তু সবাইকে নিরাপদে সাগরে নামিয়ে দিয়ে শেষ মুহূর্তে নিজেই ডুবে মারা যান দুলাল। এর আগে সোমবার ভাটিয়ারি এলাকা থেকে লাইটারেজ জাহাজের এক নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৯ মার্চ) ভোর রাত ৪টার দিকে বহির্নোঙরের একটি মাদার ভ্যাসেল থেকে ক্লিংকার বোঝাই করে এমভি টিটু-১৪ নামে লাইটারেজ জাহাজটি নারায়ণগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে লাইটারেজের ১২ নাবিক সাগরে লাফ দেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সাত নাবিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। অন্য এক নাবিককে আরেকটি লাইটারেজের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। এরপর নিখোঁজ চারজনের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।