কথা কম বলা সুন্নাত ও ইবাদত। তাই বেশি কথা না বলে নীরব বা চুপ থাকা উত্তম। অনেকেই কম কথা বলা লোককে পছন্দ করেন না। কারণ তারা মনে করেন কথা কম বলা অহংকারীর লক্ষণ। প্রকৃতপক্ষেই কি এটি সত্য?
‘না’ বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়, বরং কথা কম বলা লোককে যারা অহংকারী মনে করেন, তারা হয়তো জানেন না যে, চুপ থাকা একটি পরিশ্রমহীন ইবাদত ও নবিজীর সুন্নাত। হাদিসের বর্ণনা থেকেই তা প্রমাণিত-
১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার অতিথির অভ্যর্থনা ও আদর-যত্ন করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)
২, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নীরব থাকলো, সে নাজাত (মুক্তি) পেলো।’ (তিরমিজি)
সুতরাং বেহুদা কথাবার্তায় সময় অপচয় না করে নীরব থাকা উত্তম। কারণ অযথা কথা বা আড্ডায় সময় ব্যয় করার চেয়ে চুপচাপ বা নীরব থাকা সুন্নাত ও ইবাদত। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা ঘোষণা করেছেন। যারাই নীরব বা চুপ থাকবে, তারাই মুক্তি পাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অযথা বা বেহুদা কথাবার্তা না বলে নীরবে ইবাদত-বন্দেগি করা কিংবা চুপ থাকার তাওফিক দান করুন। নীরব থাকার মাধ্যমে নবিজীর সুন্নাতের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।