রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় রজনীগন্ধা টাওয়ারে রাঙাপরী জুয়েলার্সের দুটি দোকানে তালা ভেঙে ৩০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িত চোরচক্রের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
এডিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় রজনীগন্ধা টাওয়ারে রাঙাপরী জুয়েলার্সের দুটি দোকানে তালা ভেঙে চুরি হওয়া যাওয়া স্বর্ণ বিক্রির ৯ লাখ টাকা ও ইমিটেশন গহনাসহ চোরচক্রের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে গ্রেফতার আসামির নাম না জানালেও এ বিষয়ে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ভাষানটেক থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের মধ্যে রজনীগন্ধা টাওয়ারের নিচতলায় রাঙাপরী জুয়েলার্সের দুটি দোকানে চুরি হয়। এ ঘটনায় ভাষানটেক থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে থাকা চার ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করা গেছে। তাদের দুজন রজনীগন্ধা কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাকর্মী। কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বেস্ট সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের মাধ্যমে দুজনকে চাকরি দেয়। ঘটনার পর ওই দুই ব্যক্তির তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, তারা নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ কারণে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বেস্ট সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডও ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ থেকে শনাক্ত হওয়া অপরাধীরা হলো মনির হোসেন, আলম হাওলাদার ও নুর ইসলাম। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে রজনীগন্ধা কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন আলম। মনির ছিলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জানি