মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়া পুলিশের ৭ সদস্য ফিরে পারে চাকরি। এমন কি সাময়িক বরখাস্ত হয়ে কারাভোগের ১৮ মাসের বেতনও পাবেন তারা। এর জন্য আদালতের রায়ের কপিসহ তাদের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে আবেদন করতে হবে পুলিশ সদর
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসব পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশের বিধি মতে এসব সদস্য পদোন্নতি সহ অন্যান্য সুবিধা প্রয়োজনে পেতে পারেন।
কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মান্নান জানান, ফৌজদারী কার্যবিধি (সিআরপিসি) মতে খালাস পাওয়া ব্যক্তি চাকুরি ফেরত এবং বরখাস্ত থাকাকালিন বেতন দেয়ার বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্য স্ব-স্ব বিভাগের নির্ধারিত বিধান রয়েছে। খালাস পাওয়া পুলিশ সদস্যরা পুলিশের বিভাগীয় আদালতের মাধ্যমে চাকুরিতে ফিরবেন। এটা না হলে পুলিশের এসব সদস্যের শ্রম আদালত সহ আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগও রয়েছে।
২০২০ সালে ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে সিনহার বোন শারমিন শাহারিয়ার। মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র্যাবকে। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জন অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযুক্ত পত্র দাখিল করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় রায়। এ রায়ে খালাস পেয়েছেন এপিবিএন এর ৩ সদস্য সহ ৭ জন। এরা ওই দিন রাতেই কারামুক্ত হন।
এরা হল, পুলিশের সদস্য এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সিনহা হত্যা মামলায় সোমবার ঘোষিত রায়ে আদালতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদন্ড এবং যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা এবং পুলিশের সোর্স নিজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিন।