মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই । অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল বা বাসায় চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা কমছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৫২টি ল্যাবরেটরিতে ২৩ হাজার ৬২৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৩ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় এক কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার ৩৩৬ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় নতুন এক হাজার ১৪০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত পাঁচদিনের মধ্যে ১ জানুয়ারি করোনার নমুনা পরীক্ষায় ৩৭০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। ওইদিন সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২ জানুয়ারি ৫৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরপর ৩ জানুয়ারি ৬৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় ও সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৪ জানুয়ারি ৭৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ছিল ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৫ জানুয়ারি ৮৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণ হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
তবে সংক্রমণ বৃদ্ধির বিপরীতে কমছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১৯৬ জন রোগী সুস্থ হন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জন। রোগী সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। কিছুদিন আগেও সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর হার ছিল ৯৮ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন নারী। করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ছয়জন ও বেসরকরি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জনে। সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।জানি