1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

দা‌ড়ি-গোঁফ কে‌টেও র‌্যা‌বের নিকট ধরা আ‌শিক

নাগ‌রিক খবর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৮২ বার পঠিত

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম আশিক ওরফে টনের্ডো আশিক গ্রেফতার এড়াতে ভ্রু, দাঁড়ি ও গোঁফ কেটে ফেলেছিলেন। কারণ তার দাড়ি গোঁফওয়ালা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় আশিকের মুখে দাড়ি ও গোঁফ ছিল। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর আশিক গ্রেফতার এড়াতে ভ্রু ও দাঁড়ি কেটে ফেলে।

গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে চারজন এজাহারনামীয় আসামি ও আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানাজানি হলে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় আশিক। পরবর্তীতে সে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুইদিন পর কক্সবাজার থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে তাকে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয়।

আশিকের বরাতে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, আশিক ও তার সহযোগীরা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ভিকটিম ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অতঃপর লাবনী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে ভিকটিমকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার আশিকুল ইসলাম ভিকটিমকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে ভিকটিমের স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে গ্রেফতার আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়- ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তাদের আট মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় কক্সবাজারে অবস্থান করছিল ওই পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাইতো। এসময় ওই নারী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী র‍্যাব-১৫ এর কাছে তাকে উদ্ধারে সহায়তা চায়। এরপর র‍্যাব ভিকটিমের স্বামীকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ও একপর্যায়ে ভিকটিম উদ্ধার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে জিম্মি করার সহযোগিতার অভিযোগে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।জা‌নি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com