কুমিল্লার লাকসামে মহাসড়কের গর্তে ট্রাক আটকে পড়ায় দিনভর যানজটের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে হাজারো যাত্রীর। পাঁচ ঘন্টা বন্ধ ছিলো মহাসড়ক। এ ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম জংশনের মিশ্রী এলাকায়। এই সড়ক নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, সকাল ১০ টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাক কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসাম মিশ্রী দারোগা বাড়ির সামনে গর্তে আটকে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ঢাকা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-নোয়াখালী,কুমিল্লা-নোয়াখালী,কুমিল্লা-লক্ষীপুরসহ কয়েকটি সড়কে আন্তঃজেলা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ওই আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এদিকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর পুলিশ এসে ট্রাকটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। তবে ওই গর্তে আরো বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ায় এ দুর্ভোগ দিনভর লেগেই ছিল। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ওই গর্ত ভরাটে কিংবা স্বাভাবিক ভাবে যান চলাচলে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাস চালক কামাল হোসেন জানান,গত পাঁচ বছর ধরে এই সড়কের এই বেহাল অবস্থা। প্রায় গর্তে বাস বিকল হয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
লালমাই বড় ধর্মপুরের যাত্রী রাসেল মিয়া জানান,নোয়াখালী থেকে ফিরিছি। লাকসাম আসার পর শুনি সড়ক বন্ধ। এতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য- কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফোরলেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এ সড়কের বাগমারা বাজার, লাকসাম জংশনের মিশ্রী, জংশন, বাইপাসসহ ১০টি স্পটে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে যানবাহন। যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।